স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনদফা দাবিতে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন করছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট তিতুমীর কলেজ শাখা। তিন দফা দাবিগুলো হলো: মেস ভাড়া মওকুফ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারি, জেকিজে হেলথ কেয়ারের কর্মী কর্তৃক কলেজ কর্মচারীদের উপর বর্বরোচিত হামলার বিচার ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবি জানায়।
সোমবার বেলা ১১টায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট তিতুমীর কলেজ শাখার আহ্বায়ক রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
এসময়ে বক্তরা বলেন, মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মত বন্ধ আছে সরকারি তিতুমীর কলেজও। অন্যদিকে সরকারী তিতুমীর কলেজে ৫৬ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করলেও সেখানে মাত্র ৩টি আবাসিক হল রয়েছে। তাই অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের কলেজ ক্যম্পাসের আশেপাশে মেস ভাড়া করে থাকতে হয়।
কিন্তু তারপরও সরকারের পক্ষ থেকে বা কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোন ধরনের আলোচনা নেই বললেই চলে। অন্যদিকে মেস ভাড়া পরিশোধ করার জন্য বাড়িওয়ালারা ছাত্রদের উপর চাপ সৃষ্টি করেই যাচ্ছে। এমতাবস্থায় মেস ভাড়া দিতে না পারায় কোথাও কোথাও বাড়িওয়ালারা কর্তৃক শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের খবরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তাই মেস ভাড়া মওকুফ করে সরকারে কাছে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানাচ্ছি।
এসময় তারা আরও বলেন, প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার কারণে কলেজ প্রাঙ্গণে ঘটে যাওয়া কলেজ কর্মাচারীদের উপর কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্পের স্বেচ্চাসেবকদের বর্বর হামলায় বিচার তো দূরের কথা কোন সুষ্ঠ তদন্তও হয়নি। হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। এই ন্যাক্কারজনক হামলার সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তারা বলেন, এই কালো আইন স্বাধীনদেশের স্বাধীনতার চেতনা বিরোধি। মহামারী করোনাকালীন এই দুর্ভোগের সময়েও সারা দেশে শিক্ষক-সাংবাদিক-কার্টুনিস্টসহ ভিন্ন মতের মানুষদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার তৎপরতা অব্যাহত আছে। এমতবস্থায় মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা জিম্মি হয়ে পড়েছে। । তাই অবিলম্বে এই কালো আইন বাতিলের দাবি জানাই।
মন্তব্য করুন